The Tyger
দা টাইগার
BY WILLIAM BLAKE
কবি 1757 সালের 28 নভেম্বর লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, চিত্রশিল্পী এবং কারুশিল্পী। তিনি ছিলেন একজন mystic কবি। যারা জন্ম, মৃত্যু, আত্মা, সৃষ্টিকর্তা, পরকাল, ফেরেশতা, শয়তান ইত্যাদি বিষয় নিয়ে লেখেন তাদের বলা হয় mystic কবি। ধর্ম, শিশু, স্রষ্টা, পাপ, পূণ্য, মৃত্যু, পরকাল ইত্যাদি ছিলো Blake এর লেখার বিষয়বস্তু। তিনি মানব মনের প্রধান দুটি বিপরীত সত্বা নিয়ে লিখেছেন যা Songs of Innocence and of Experience নামে পরিচিত। এখানে Songs of Innocence মূলত স্বর্গ থেকে পতিত হওয়ার পূর্বের অবস্থা আর Songs of Experience পতিত হওয়ার পরের অবস্থা বোঝায়। তার প্রধান প্রধান রচনাগুলো হলো: Songs of Innocence and of Experience, the Marriage of Heaven and Hell, Milton etc. তিনি 1827 সালের 12 আগস্ট লন্ডনে মৃত্যুবরণ করেন।
Summary
কবিতার শুরুতেই দেখা যায় এক ভয়ালদর্শন বাঘ কে কবি জিজ্ঞাসা করছেন যে কে সেই স্রষ্টা যিনি এই ভয়ানক প্রাণী সৃষ্টি করতে পারেন। পরবর্তী প্রতিটি Stanza তে আরো নতুন নতুন প্রশ্ন করা হয় যার সবগুলোই এই প্রথম প্রশ্নটাকেই ঘিরে। এই মহাবিশ্বের কোন স্থান থেকে বাঘের চোখের আগুন আনা হয়েছে; কে ছিল সেই দুঃসাহসিক মানুষ যে এই আগুন কে নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছে; কিভাবে বাঘের হৃৎপিন্ড কে দেয়া হয়েছে নির্দিষ্ট অবকাঠামো এসব কিছুই কবিকে অবাক করে। কবি আরও অবাক হন একথা ভেবে যে কিভাবে এর স্রষ্টা বাঘের শরীরের বাকি অংশ তৈরি করার সাহস পেলেন এর সচল হার্ট দেখার পর। কবি কল্পনা করে দেখেন যেন কোন এক কামার শালায় এই বাঘের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। তিনি অবাক হয়ে ভাবতে থাকেন যে কোন কোন যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়েছিল বাঘের এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো তৈরি করার জন্য। কবির মনে প্রশ্ন জাগে যে যখন এই প্রাণীটি সৃষ্টি করা সম্পন্ন হয়ে গেল তখন স্রষ্টার অনুভূতিটা কেমন ছিল। তিনি কি তাঁর সৃষ্টি কর্ম দেখে সন্তুষ্টের হাসি হেসেছিলেন। কবির মনে আবারও প্রশ্ন জাগে ইনিই কি সেই স্রষ্টা যিনি সৃষ্টি করেছিলেন নিরীহ, নিষ্পাপ, বিনম্র ও কোমল মেষশাবক।
Theme
কবিতায় কবি স্রষ্টার ক্ষমতা, মহিমা ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর আলোকপাত করেছেন। তিনি যেমন সৃষ্টি করতে পারেন নিরীহ মেষ শাবক, তেমনি সৃষ্টি করতে পারেন বাঘের মত হিংস্র প্রাণী। অর্থাৎ, স্রষ্টা যেমন কোমল হৃদয়ের অধিকারী, প্রয়োজনে তিনি হতে পারেন বজ্রের মত কঠিন। তাই, আমাদের উচিত সর্বদা স্রষ্টার অনুগত থাকা।
আবার মানুষকে আল্লাহ কোমলতা ও কাঠিন্য এ দুইয়ের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন। পরিস্থিতি বুঝে তাকে কখনও হতে হবে কোমল, আর কখনো কঠিন।
1st Quatrain
Tyger Tyger, burning bright,
In the forests of the night;
What immortal hand or eye,
Could frame thy fearful symmetry?
WORD MEANING
Tyger (old form of tiger)- বাঘ, নিষ্ঠুরতা ও নির্দয়তার প্রতীক; Burning- দীপ্তিমান; Immortal Hand or Eye- God; Frame- কাঠামো তৈরি করা; Thy- your; Fearful- ভয়ানক, terrifying; Symmetry- সঠিক অনুপাতে তৈরি কাঠামো, perfectly proportionate structure.
বঙ্গানুবাদ
ব্যাঘ্র ব্যাঘ্র, দীপ্তিমান উজ্জ্বল,
রাতের জঙ্গলে;
কোন সে অমর হাত বা লোচন,
পেরেছে তোর এ ভয়ানক সুগঠিত কাঠামো করতে সৃজন?
অর্থাৎ
বাঘ হলো মানুষের অভিজ্ঞতার জগতে রাগ ও নির্দয়তার প্রতীক। মানুষের মনের কঠিন দিক। অর্থাৎ, মানুষকে স্রষ্টা কোমলতা (মেষ শাবক) আর কাঠিন্যের (বাঘ) মিশ্রণে তৈরি করেছেন। বাঘ হিংস্র, নির্দয়, ভয়ালদর্ষণ, তবুও সুন্দর। হতে পারে ক্রোধ (হিংস্রতা) খারাপ, তবে যদি টা অন্যায়ের প্রতিবাদে বা সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তবে সেটা ভয়ানক সুন্দর। কবি বাঘকে জিজ্ঞাসা করছেন কোন সে স্রষ্টা যে কিনা বাঘের মত সুগঠিত ভয়ানক প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। এ প্রশ্নের মাধ্যমে কবি স্রষ্টার ক্ষমতার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। স্রষ্টা চাইলে যেমন মেষ শাবকের মত কোমল প্রাণী সৃষ্টি করতে পারেন, তেমনি বাঘের মত হিংস্র প্রাণীও সৃষ্টি করতে পারেন।
2nd Quatrain
In what distant deeps or skies,
Burnt the fire of thine eyes?
On what wings dare he aspire?
What the hand, dare seize the fire?
WORD MEANING
Distant Deep- অনেক দূর গভীর, পাতালপুরী, hell; Sky- আকাশ, সূর্য, heaven; Burnt- পুড়িয়ে তৈরি করেছে; Thine- your; Wings - ডানা; Dare- সাহস করা; He- সম্ভবত প্রমিথিউসের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে যিনি সূর্য দেবের কাছ থেকে আগুন চুরি করে এনেছিলেন মানুষ জাতির জন্য। তিনি কি বাঘের চোঁখের আগুনও এনেছিলেন?; Aspire- উড়ে যাওয়া, fly; Seize- ধরা, capture;
বঙ্গানুবাদ
কোন সে সুদূর গভীর বা নভোমন্ডল,
যেথা পোড়ানো হয়েছিল তোমার অক্ষি অনল?
কোন ডানায় সে উড়ার সাহস করেছিল?
কোন সে হাত, ঐ আগুন ধরার সাহস করেছিল?
অর্থাৎ
কবি বাঘের ভয়ালদর্শন চোঁখের কথা বলছেন। বাঘের চোখে যেন আগুনের ফুলকি বের হয়। সে আগুন হয় নরক থেকে আনা হয়েছে, অথবা সূর্য দেবের কাছ থেকে আনা হয়েছে। কিন্তু এ আগুন সবার পক্ষে আনা সম্ভব নয়। কোন সুদক্ষ ব্যাক্তিই এ আগুন ধরার সাহস করতে পারে। কে সেই ব্যাক্তি যে এত বড় সাহস করেছিল? সে কি তবে প্রমিথিউস যে মানুষের জন্য আগুন চুরি করেছিল সূর্য দেবের কাছ থেকে। তবে কি সে বাঘ সৃষ্টির আগুনও এনেছিল?
(প্রমিথিউস ছিল একজন টাইটান দেবতা। বরফ যুগে মানুষ জাতির কষ্ট দূর করতে তিনি সূর্যের কাছ থেকে লুকিয়ে আগুন এনেছিলেন, এজন্য দেবরাজ জিউস থাকে ভয়ানক শাস্তি দিয়েছিলেন। তাকে বেঁধে রাখা হয় এক বিশাল পাথরের সাথে, আর প্রতিদিন এক বিশাল ঈগল এসে তার বুক চিরে কলিজা ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে সন্ধ্যায় চলে যায়। রাতে কলিজা আবার আগের মত হয়ে যায়। আবার সকালে আসে ঈগল। এভাবেই চলছে আজও)
3rd Quatrain
And what shoulder, & what art,
Could twist the sinews of thy heart?
And when thy heart began to beat,
What dread hand? & what dread feet?
WORD MEANING
Shoulder- কাধ, একানে হাত; Art- শিল্প, এখানে বাঘের হৃৎপিণ্ডের নকশা; Twist- মোচড়, এখানে বাঁকানো; Sinews- মাংস পেশী, muscle; Dread- ভয় পাওয়া।
বঙ্গানুবাদ
আর কোন সে বহু, আর কাঠামো সে কোন,
তোর হৃৎপিণ্ডের পেশীকে যে করেছিল দমন?
আর যখন তোর হার্ট শুরু করলো স্পন্দন,
কে সাহস করলো সৃজিতে হাত? আর পা সৃজন?
অর্থাৎ
যদিওবা বাঘের সর্বঙ্গই ভয়ানক তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তার হার্ট বা হৃৎপিণ্ড। স্রষ্টা যেন সে হার্টই প্রথম বানালেন। সেই হৃৎপিণ্ডের পেশীকে মুচড়ে নির্দিষ্ট আকৃতি দিতে সাহস করেছিল কোন সে হাত? সেতো স্বয়ং গড ছাড়া অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কোন সে ব্যাক্তি যে কিনা এই হার্টের নকশা করেছিল? সে নিশ্চয় গড। কারণ তিনি ছাড়া এত ভয়ানক সুন্দর আকৃতি আর কি কেউ বানাতে পারে? আর যখন তোর হার্ট স্পন্দন শুরু হয়, তখন কি সে তোর হাত আর পা তৈরি করতে ভয় পায় নি? তোর হার্টের স্পন্দন শোনার পর কে পারলো তোর বাকি অঙ্গগুলো (হাত, পা) গঠন করতে? সেতো স্রষ্টা ছাড়া আর কেউ হতে পারে না।
4th Quatrain
What the hammer? what the chain,
In what furnace was thy brain?
What the anvil? what dread grasp,
Dare its deadly terrors clasp!
WORD MEANING
Hammer- হাতুড়ি; Furnace- চুল্লি, fireplace; Anvil- নেহাই, যে লোহার বড় পাতের উপর উত্তপ্ত লোহা রেখে হাতুড়ি দিয়ে পিটানো হয়; Grasp- ধরা, এখানে হাত; Deadly- মারাত্মক, fatal; Terror- ভয়, fear; Clasp- আলিঙ্গন করা, এখানে নিয়ন্ত্রণ করা, controll.
বঙ্গানুবাদ
কোন সে হাতুড়ি, কোন সে বেড়,
কোন সে চুলোয় সৃজিত মস্তিষ্ক তোর?
কোন সে নেহাই? কোন ভয়ানক হস্তে,
পারলো এর মারাত্মক ভয়কে জয় করতে!
অর্থাৎ
কবি ভেবে অবাক হন কেমন ছিল সে হাতুড়ি যেটা দিয়ে পিটিয়ে বাঘের মাথার রূপ দেয়া হয়েছিল; কেমন ছিল সে শিকল যা দিয়ে হাপর টেনে আগুন উস্কে দেয়া হয়েছিল; কেমন সে চুলা যেথায় পুড়িয়ে রূপায়িত হয়েছিল বাঘের মাথা; কোন নেহাইয়ের উপর রেখে পিটানো হয়েছিল হাতুড়ি দিয়ে। যখন তৈরি হলো কাঠামো, প্রাণ পাবার আগেই সেটা স্পর্শ করতে কি ভয় লেগেছিল? কে সে দুঃসাহস দেখিয়েছিল এই মারাত্মক ভয় কে আলিঙ্গন করার?
এখানেa
কবি কামার শালা কল্পনা করছেন। কারিগর (স্রষ্টা) নিজের হাতে লোহা উত্তপ্ত করে পিটিয়ে বাঘের মাথা তৈরি করছেন। সেটা দেখতে এতটাই ভয়ানক যেন সেই নিষ্প্রাণ মস্তক তাকে স্পর্শ করতেই ভয় লাগে। কিন্তু স্রষ্টা সেতো অসীম ক্ষমতা আর সাহসের অধিকারী। তিনি এই মহাবিশ্বের সবকিছুর মত সেই ভয়ানক প্রাণীটিরও নিয়ন্ত্রক।
5th Quatrain
When the stars threw down their spears
And water'd heaven with their tears:
Did he smile his work to see?
Did he who made the Lamb make thee?
WORD MEANING
Stars- যে এঞ্জেলরা গডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল শয়তানের কথা শুনে (Fallen angels); Threw down- ছুড়ে ফেললো; Spears- বর্শা; Threw down their spears- যখন স্রষ্টা বাঘ সৃষ্টি করলেন বিদ্রোহী এঞ্জেলরা এত ভয় পেলো যে তাদের হাতের বর্শা ফেলে দিয়ে আত্ম সমর্পণ করলো আর ক্ষমার জন্য কাদতে শুরু করলো; Watered- ভিজিয়ে দিলো; Heaven- স্বর্গ; Tears- চোঁখের জল।
বঙ্গানুবাদ
যখন নক্ষত্ররাজি বর্শা ছুড়ে ফেললে,
আর ভিজালে স্বর্গ চোঁখের জলে:
হেসেছিলো সে কি দেখে তার আপন সৃষ্টি?
সেই কি তোর স্রষ্টা যে করেছে মেষ শাবক সৃষ্টি?
অর্থাৎ
এখানে মিল্টনের প্যারাডাইস লস্ট এর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। শয়তান স্রষ্টার শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং পতিত হয়। তার সাথে পতিত হয় তার সকল সহযোদ্ধা এঞ্জেলরা। কবি কল্পনা করছেন যেন বাঘ সৃষ্টির পর বাঘের ভয়ানক রূপ দেখে ভয়ে পতিত এঞ্জেলরা তাদের যুদ্ধাস্ত্র ফেলে আত্ম সমর্পণ করে, আর কাদতে শুরু করে ক্ষমার জন্য। কারণ তারা বুঝতে পারে এমন প্রাণী যে সৃষ্টি করতে পারে, তার সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়া দুঃস্বপ্ন ছাড়া কিছু হতে পারে না। বাঘ সৃষ্টির পর নিজের সৃষ্টি সাফল্য দেখে স্রষ্টা তৃপ্তির হাসি হেসেছিল কিনা সেটা কবির মনে প্রশ্ন জাগে। আবার প্রশ্ন জাগে এ কি সেই স্রষ্টা যিনি সৃষ্টি করেছেন মেষ শাবক! কারণ মেষ শাবক কত কোমল, বিনম্র যেখানে বাঘ ভয়ালদর্শন, হিংস্র ও নির্দয়। আসলে কবি এখানে বুঝাতে চেয়েছেন যে স্রষ্টার মধ্যে যেমন কোমলতা আছে, তেমনি প্রয়োজনে তিনি নির্দয় ও নিষ্ঠুর হতে পারেন। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং যেকোন পরিস্থিতিতে তার প্রতি অনুগত থাকা ভিন্ন কোন উপায় মানব জাতির নেই।
6th Quatrain
Tyger Tyger burning bright,
In the forests of the night:
What immortal hand or eye,
Dare frame thy fearful symmetry?
[এই অংশটি পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে কবিতার গঠনগত কারণে। বাঘ যেমন সুষম গঠনে গঠিত (symmetry), ঠিক সেরকম একটি কাঠামো কবি এ কবিতাকেও দেবার চেষ্টা করেছেন। শুরু ও শেষের stanza দুটি যেন দুটি মজবুত পিলার যাদের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে বাকি কাঠামো। অর্থাৎ কবিতাটিও symmetrical.]
1 Comments
Good
ReplyDeleteDrop your comment here ⬇